• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড      

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২  

পঞ্চগড়ের শিশু সন্তান হত্যার ৫ বছর পর  হামিদা আক্তার নামের মাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিছুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, নিজের শিশু সন্তানকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা মিলে গেলে আদালত প্রধান অভিযুক্ত আসামি হামিদা আক্তারকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাভোগ করতে হবে তাকে। এ মামলায় অপর দুই আসামি হামিদার মা খোদেজা ও তার বাবা হাসান আলীকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত হামিদা আক্তার জেলার আটোয়ারী উপজেলার দোহসুও এলাকার হাসান আলীর মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকতেন এ নারী।

২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিলে ৮ মাস বয়সী শিশু সন্তান ইমরান আলীকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে শিশুটির চাচা মজনু মিয়া আটোয়ারী থানায় একটি অপমত্যু মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমে শিশু ইমরানের মা হামিদা এবং তার মা খোদেজা বেগমকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন পুলিশ।

এ বিষয়ে সন্ধ্যায় মামলার বাদী মজনু হক জানান, আমার ছোট ভাইয়ের বউ হামিদা আক্তার। তার সঙ্গে খোলা তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছেদ হলে আমরা শিশুটিকে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সামাজিক বিচারে শিশুটিকে মায়ের কাছে রাখতে বলে আমরা আপত্তি করিনি। এখান থেকে যাওয়ার পর চারদিনের মাথায় শুনি ভাতিজা মারা গেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানি মৃত্যুর রহস্য রয়েছে। পরে থানায় প্রথমত অপমৃত্যু মামলা করি। পরে জানতে পারি শিশু ইমরানকে তার মা হত্যা করেছে। পরে হত্যা মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে আসছিলেন। আজ বুধবার দুপুরে আদালতে সন্তোষজনক রায় পেয়েছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –